Thursday, 4 May 2017

আত্মহুতি

ছবিঃ তাহমিনা হাবিব
বিদায় আসিবে ভেবে হচ্ছে বুঝ
বাড়ছে চাপ মনের কোনে, 
দিচ্ছে উকি সন্ধ্যায় এসে সম্ভাবনার দল। 


দূরে নতুন করে জ্বলছে মিটিমিটি স্বপ্ন
অবচেতন চাইছে বুঝাতে চেতনাবাদী মনে,
দ্বৈত সত্ত্বার প্যাচকলে সময়ের স্থিতিশীলতা
প্রগাঢ় আলস্য আর স্বপ্নহীনতায় ভরিয়েছে মন।

বিষাদের কুণ্ডলীমাখা একরাশ অহমিকায় প্রতাপে
নতুন করে মনের দরজায় যেন জ্বলছে আবার;
ভরা লালশাময় প্রগাঢ়- এক লোভীর বেঁচে থাকার
ক্ষুদ্র প্রয়াস- যে প্রানে নেই কোন সৃষ্টির উল্লাস,
কোন বেদুইনের স্বপ্ন, ব্যর্থতার গ্লানি নেয়ার সৌভাগ্য।
আছে শুধু দুমুঠো অন্ন আর ঠিকঠাক বেঁচে থাকার আহ্লাদ!

কোথাও যেন চিলেকোঠায় প্রেমিকার বাসা,
অভাগা-তা ছেড়ে কুলাঙ্গারের পিছে রাতদিন,
অলিগলি যেথায় যা পায় শরীরের চাহিদা মেটায়!
একমুঠো দয়া নেই একটুও ভাবে না চিলেকোঠায়
ফেলে আসা প্রেমীকার কথা; সহসায় চুপেচুপে কেউ এসে বলে যায়-
মন পাওয়ার ইচ্ছের কথা,যৌবনের লালসার তীব্রতা,
আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা স্বপ্নের কথা, কষ্টে জমা কথাগুলোর কথা;
আহা! কি গভীরতাই না ছিলো প্রেমে,
সময়ের কষাঘাতে সব প্রেম বিলীন হয়ে যায়।

প্রেমিকার মন রেখে নোংরা অলিগলি পথে ছুটে চলে,
কাপুরুষের ন্যায় অর্থ আর লোভে মন পাড়ি জমায়
নিচু তলার মানুষের কাতারে, আনন্দ খুঁজে পায় বিত্তে।
নেশা জাগে অর্থে, বিলাসবহুল জীবনকে ভাবে উন্নতমন,
আহা!
কী সব উন্মাদনা? কি সব চিন্তার মান!

যে জীবন খুঁজেছে এক নির্জনে প্রেমিকার মন
সে প্রেমিক একদায় বেছে নেয় বেশ্যার জীবন।
উঁচু তলার প্রগাঢ় প্রেম, আষ্টেপৃষ্ঠে রাখা মমতা,
বাঁধনের তীব্রতাও পারে নি জাগাতে ব্যর্থ মন।
মন দেখে শুধু মরীচিকা, ধূলোয় জমা স্বপ্ন!

সেদিন দূরে কোথাও দুমরে মুচড়ে তলিয়ে যাওয়া
একটা মানুষের আর্তনাদ শুনেছে কেউ কেউ,
কিছু বলতে শোনা যায়নি কাউকে; ভেবে নিয়েছে- হয়তো বাস্তবতা।
মৃত ব্যক্তির লাশ নিতে সেদিন কেউ ছোটাছুটি করে নি,
আজ অবধি মৃত ব্যক্তিকে দেখে সবাই অবাক হয়!
কী স্বাভাবিক ভাবেই না হেঁটে যায়, যেন কিছুই হয়নি এই জীবনে!
জীবন বুঝি মানিয়ে নেয়ার মস্ত বড় যন্ত্র?  

 মাহতাব হোসেন
৪ই মার্চ ২০১৭
কবিতা আত্মহুতি । মাহতাব হোসেন