Friday, 31 March 2017

লিলুয়া বাতাস

ছুটির দিন গুলোতে মাঠে সাধারণ অনেক মানুষ জড়ো হয়। সাপ্তাহে একদিন ছুটি পায় চাকুরীজীবী মানুষ গুলো। তারা তো আর আমাদের মতো বেকার না। আমাদের তো পড়াশুনার বাহিরে কোন কাজ নেই। অন্য প্রতিদিনের মতো সন্ধায় দু বন্ধু মাঠে এসেছি। আজকের আবহাওয়াও সুন্দর। ছুটির দিন বলে মানুষের আনাগোনা অন্য দিনের তুলনায় বেশী। লিলুয়া বাতাসে দু বন্ধু ঘাসে বসে গায়ে হাওয়া লাগাচ্ছি। আমাদের পাশে একটা মেয়ে ঘুরঘুর করছে। কানে তার হেডফোন। পোশাক আশাক দেখে ভদ্র পরিবারের মেয়েই মনে হচ্ছে। অনেকদিন থেকেই বন্ধু আমার প্রেমে মরীয়া হয়ে উঠেছে। প্রেম প্রেম খেলা তার মনে উথলে উঠেছে কিন্তু হায় প্রেম! প্রেম তো দেখা মিলে না।
অন্যদিনের মতো আজ আর নিজেদের কথা নিয়ে গল্প হচ্ছে না। মেয়েটাকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর মেয়ে বন্ধুর দিকে তাকাচ্ছে। বন্ধুও মনে মনে দেওয়ানা হয়ে উঠেছে। মেয়ের তাকানোর ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সেও কিছু বলতে চায়। মাঠে সন্ধ্যায় কতো মেয়েই আসে। কার মনে কি বাসনা সে তো মাবুদ ছাড়া কেউ জানে না। বন্ধু আর মেয়ে দুজন দুজনকে চোখ দিয়ে বুঝে নিয়েছেন।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা ছেড়ে মেয়েটা আমাদের কাছে আসে। আমি বন্ধুর প্রানে চেয়ে রয়েছি। তার চোখে মুখে উত্তেজনা কাজ করছে।
মেয়ে কাছে আসতেই তার পিছনের পকেট থেকে একটি ভিজিটিং কার্ড বের করে। বন্ধুকে কার্ডটা দিয়ে হাতে ইশারা করে পরে কল দেয়ার জন্যে। কার্ডটা পড়ার সাথে সাথে বন্ধুর মনের সব উত্তেজনা এক নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। কার্ডটায় কি লেখা ছিলো তা আর ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এটা জানা ভালো, এমন যুগ এসে দাঁড়িয়েছে পোশাক দেখে মানুষ জানা দুষ্কর। কে বা শখে, কে বা ঠেকায় পড়ে এমন করেন তা কি মাবুদ ছাড়া কেউ জানেন?


অনুগল্পঃ লিলুয়া বাতাস
লেখাঃ মাহতাব হোসেন 

Thursday, 30 March 2017

একজন আরজ আলী মাতুব্বর

আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম ১৯৯০ সাল। ছোট বেলা থেকে তার বই পড়া আর জানার খুব ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু সব ইচ্ছা
তো ইচ্ছানুযায়ী হয় না। সব কিছুর জন্যেই সময় আর অবস্থার প্রয়োজন লাগে। মাতুব্বরের ইচ্ছা আর অবস্থায় চাওয়া ভিন্ন ছিলো। তারপরেও সে নিজের জানার ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে নি। দূর-দূরাত্বের যেখানেই বইয়ের খোঁজ পেতো ছুটে যেতো বই পড়ার জন্যে।
কৈশোর শেষ করে যৌবনে পা দিতেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। জন্মের চার বছর পর জনক বিহীন মাতুব্বরকে তা মা ই বড় করে তুলেন। জননীর এই বিযোগ তার মনকে খুবই ব্যাথিত করে একই সাথে মায়ের স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্মৃতি হিসেবে মায়ের মৃত ছবি তুলে রাখার ইচ্ছা জাগে মনে। ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে মাতুব্বর কিন্তু গলদ বাঁধে গ্রামের মোল্লা সমাজে। মাতুব্বরের এই ইচ্ছাকে তারা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেন নাই যার দরুন তারা তার মৃত মায়ের জানাজা আর দাফন করতে কোন ভাবেই রাজি হয় নি। মৃত ব্যক্তিকে রেখে তারা স্থান ত্যাগ করেন। লাশের অপরাধ ছিলো আরজ আলীর এক খানা ছবি তোলা।
এমন নিষ্টুর আচরণ আরজ কোন ভাবেই মেনে নিতে সক্ষম হয় নি নিজ মনে। সে বার বার মোল্লা সমাজকে বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়। তার কথা হলো, মৃতের ছবি তুলে যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে তা তো আমি করেছি তার জন্যে আমার মৃত মা সাঁজা পাবে কেনো? এই জন্যে যদি কোন গুনাহ হয়ে থাকে তার দায় আমি নিতে প্রস্তুত তারপরেও কেনো আপনারা আমার মায়ের জানাজা পালন করবেন না। আমার মা ফরহেজগার বান্দা ছিলেন আমার জন্যে সে কেনো জানাজা ছাড়া কবরে যাবে। শত রকম বুঝিয়ে ও সে তখন ব্যর্থ। তাকে আর তার মৃত মাকে রেখে গ্রামের সকলে যখন চলে যায় তখন বাধ্য হয়ে আরজ তার চেনা জানা দু-তিন জনের সাহায্য নিয়ে জানাজা ছাড়াই মায়ের কবর দেয়। এমন যন্ত্রণা পরবর্তীতে তার নিজের চিন্তার জগতের রাজ্য পরিবর্তন করে। 
এতো কিছুর পরেও আরজ আলী মৃত মায়ের ছবি খানা নিজের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। ওই দিনের ঘটনা তার বিবেকে টনড় নাড়ে। এর সাথে যুক্ত হয় তার দেখা আর চিন্তার ব্যাপক পরিবর্তন। সময়ের সাথে সাথে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বয়সের পরিপক্বতা আসে আরজ আলীর। সাথে আসে চিন্তারও ব্যাপক পরিবর্তন। বহু বছরের পড়া বই সমূহ, সমাজ-সমাজের মানুষ, তাদের চিন্তা চেতনা নিয়ে ভাবা এবং সেই অনুযায়ী নিজের মতাদর্শ তৈরি করে- এক দিন আরজ আলী নিজেকে স্বশিক্ষিত করে এবং সে থেকে তার চিন্তায় দর্শনের প্রকাশ ঘটে। এই ভাবেই একজন গ্রামের চাষাভুষা কৃষক সমাজ দর্শন চিন্তাবিদ হিসেবে গড়ে এই বাংলায়।

Sunday, 26 March 2017

ইলিশের ঘাট মাওয়া

মাওয়ায় ঝটিকা সফর 
 স্বল্প সময়ে ঢাকার আসে পাশে ঘুরে আসতে চাইলে যে কয়টি নামের তালিয়া চোখে পড়বে তার মধ্যে মাওয়া
ফেরীঘাটের নামও উল্লেখযোগ্য। পদ্মার সাথে যেমন ইলিশের সখ্যতা বহু যুগ থেকে চলে এসেছে তেমনি ভ্রমন পিপাশু আর ভোজন প্রেমীদের জন্যে পদ্মার পাড় তথা মাওয়া ফেরীঘাট একটি অতিপরিচিত জায়গা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এখানে আশে পদ্মার পাড়ে তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহন করতে। মাওয়া ঘাটে এসে যে কয়টি ব্যাপার আপনার মধ্যে থাকা আপনাকে চাঞ্চল্যকর করে তুলবে তার মধ্যে রয়েছে মানুষের কোলাহল, ইলিশ মাছের ঘ্রাণ, নানারকম মাছ রিলেটেড খাবারের মেনু।


কি আছে মাওয়া ফেরীঘাট
মাওয়া ফেরীঘাট যেমন ভোজনের জন্যে প্রসিদ্ধ তেমনি করে ঘুরাঘুরির জন্যেও। ঘাটের পাশেই জেগে উঠেছে বিশাল
তাজা ইলিশ খেতে হলে সকাল সকাল ঘাটে আসতে হবে। সকাল নয়টার মধ্যে আসলে পদ্মার পাড়ে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনা যায়। দোকান থেকে স্বল্প টাকায় সে মাছ মন মতো রাঁধিয়ে নেয়া যায়।
আকারের চর। দূরে পদ্মা রিসোর্ট। বিকেলের সুর্যটা অস্ত যেতেই অপরূপ মহিমায় পদ্মাকে নতুন রুপে দেখা যায়। রক্তিম আলোয় নদীতে রূপালী ঝিলিক সাথে মৃদু বাতাসে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে।

ঢাকা থেকে কীভাবে যাবেন
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে সরাসরি মাওয়া ঘাটে যাওয়ার বাস রয়েছে। যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান থেকে বি আর টি সি বাস যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ থেকে স্বাধীন বাসে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক বাস যাতায়াত করে গুলিস্থান থেকে।
গুলিস্থান থেকে মাওয়াঘাটে বাসে প্রতি সিট ৭০ টাকা ভাড়া। মিরপুর ১০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি সিট।

যাতায়াতের সময়কাল
ঢাকা থেকে রওয়া দিলে মাওয়াঘাটে যেতে গড় সময় লাগবে ২-২.৩০ মিনিট। জ্যামের উপর ভিত্তি করে করে সময় আরো কম বেশী হতে পারে।

যাত্রা পথে যা যা চোখে পড়বে
গুলিস্থান থেকে বাস যাবে বাবুবাজার ব্রিজের উপর দিয়ে। ব্রিজের উপর থেকে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য চোখে পড়বে। ব্রিজ
ক্রস করেই কেরানীগঞ্জ। বাস থেকে চোখে পড়বে কেরানীগঞ্জে সধ্য নির্মিত “ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার”। আধুনিক সব স্থাপনায় নির্মিত হয়েছে কারাগারের সব ভবন। জানালার পাশ দিয়ে চোখ মেলতেই রাস্তার দুপাশে সবুজের মেলা। গাছগাছালী আর ক্ষেতের শস্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে। মুন্সীগঞ্জের চৌচালা টিনের ঘর গুলা একটি অদ্ভুত। প্রতিটা টিনের ঘর মাটি থেকে হাফ ফুট উপরে চারটা পায়ার উপর বেজ করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় সবগুলা বাড়ির রঙ একই রকম দেখতে। যাত্রাপথে একটু দূরেই পদ্মার জন্যে নির্মিত ব্রিজের জন্যে তৈরি করা প্রকল্পের সব স্থাপনা। এই স্থাপনায় আপাতত বিভিন্ন কলাকুশলী থাকে যারা কিনা পদ্মা ব্রিজের নির্মানের গুরুত্বপূর্ন কার্যের সাথে জড়িত। পরবর্তিতে এই জায়গাটা রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহিত হবে।

কোথায় খাবেন 
ঘাটের পাড়েই গড়ে উঠেছে অনেক গুলো খাবারের দোকান। যেখানে ইলিশ সহ নানারকম ভাঁজা ও রান্না করা মাছ বিক্রি
তাছাড়া আপনি চাইলে পদ্মার পাড়ে নিরিবিলি কোনো স্থানে খাবার নিয়ে বসে পড়তে পারেন।
হয়। প্রায় সব খাবারের দোকান থেকেই পদ্মার বিশালাকার রূপ দেখা যায়। দোকানে জানালার পাশে বসে খাওয়া আপনার জন্যে আরো উপভোগ্য হবে।
ইলিশ মাছের পিস দোকানে থালায় করে সাজানো থাকে। পছন্দ মতো টুকরো দোকানী ভেঁজে দেয়। তা ছাড়া আনাম মাছ কেনারও ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দ আর দাম মিলিয়ে নিজের মতো করে মাছ ভাঁজিয়ে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রতিটা মাছের মূল্য ৩০০-১২০০ টাকা পড়বে। তাছাড়া ইলিশ মাছ পিস প্রতি ৫০-৮০ টাকা বিক্রি হয় দোকান গুলোতে। ইলিশের মাথা লেজ আর ডিম দিয়ে এক ধরনের ভর্তা তৈরি হয়। ভর্তাটা অনেক সুস্বাদু। দোকানে ভর্তা প্রতি প্লেট ৩০ টাকা।
সকালে ঘাটে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনলে পিস প্রতি ৮০-৮০০ টাকা পড়বে। সেক্ষেত্রে মাছের দামও কম পড়বে আর মাছ টাটকা পাওয়া যাবে।

সর্তকতা- 
ইলিশকে ঘিরেই যেহেতু এতো মানুষের এখানে আশা সেই ইলিশকে ঘিরেই এখানে অনেক রকম চালাকি রয়েছে। ইলিশের মতো দেখতে নদীতে আরেকটা মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এটাকে চন্দন মাছ বলে। অনেক দোকানে চন্দন মাছকেই ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়। নতুনদের মধ্যে আশা বেশী মানুষই এই ধরণের প্রতারণার শিকার হয়।
জনপ্রতি খরচ
ঢাকা থেকে যেতে চাইলে জনপ্রতি খরচ সাধারণত ২৫০-৩০০ টাকা পড়বে। এর মধ্যে যাওয়া আশা মিলিয়ে ভাড়া এবং বাকী টাকায় খাবার। তবে যাওয়া আর খাওয়া ছাড়া ওখানে আরো ঘুরতে চাইলে খরচ বাড়বে।

ছবিতে মাওয়াঘাট 












Saturday, 18 March 2017

রূপের কবি

     
তাকে নিয়ে হবে না বলা শেষ,
প্রতিটা অঙ্গের জন্যে প্রয়োজন আলাদা বিশেষন।

চোখ দুটো ফেরানো যায় না
যখন পড়ে নজর।

দিল তাহার অনেক নরম
জেনো ফুলের পাপড়ির ছোঁয়া রয়েছে তাতে।
লাগে না বলা হাজার কথা
বুঝতে দিতে তাকে।

চুল গুলো বেনি করা
নিকশ কালো কেশে।

চোখ দুটো টানা টানা
কালো কাজল শেষে।

চোখে তার মায়ার জাল
ফেরানো যায় না দেখা শেষে।
এই মায়ায় বন্ধী হলে যাবে না
ফেরা বাড়ি ফেরা তাকে ছাড়া।

Friday, 10 March 2017

রাজকন্যার হিরোর গল্প

ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। হ্যারিকেনের আলোয় পুরো ঘর জুড়ে অলৌকিক আভা। যেনো রূপ কথার কোন এক রাজ্যে শান্তির এক নীড়। যে নীড়ে বৃষ্টি আশীর্বাদ হিসেবে নেমে এসেছে।

টিন আর কাঠে তৈরি ঘরে লোহার শিক দিয়ে বানানো জানালা। ঘরের সম্মুখ জানালার পাশে বসে আছে রাত্রি। হ্যারিকেনের আলোও তাকে অনেক মায়াবী দেখাচ্ছে। যেনো পারস্য দেশের কোন এক ড্রামা সিরিয়ালের নাকিয়া।

টিনের চালে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি স্রষ্টার নেয়ামত। নেয়ামতে অদ্ভুত সৌন্দর্য। বৃষ্টিতে চারদিকে রিমঝিম শব্দ খেলে। টিনের চালে টুপ টুপ শব্দ। মায়াবী মেয়েটা যেনো কোন এক মায়াবী রাজ্যে হারাতে চায়। কিন্তু কোথাও জেনো তার সব কিছু থেমে রয়েছে।

রাত্রির দৃষ্টি সামনে বারান্দা পেরিয়ে বাড়ির মাটির উঠোনে। তাদের বারান্দাটা অনেক সুন্দর। মায়ের হাতে বানানো মাটি লেপে তৈরি করা বারান্দা। আগে তারা প্রায় রাত্রি বেলায় এই বারান্দায় পাটি পেতে গল্প করতো। বাবা ছিলো তাদের গল্পের মূল আর্কষণ। বাবা কতো রকম গল্পই না শুনাতো তাদের। বাবার গল্প বলার ভঙ্গি দেখে রাত্রির মনে রাত্রি বেলায় কতোই না ঈর্ষা হতো। মনে মনে তখন কতোই গল্প বানাতো। বাবাকে শুনাবে বলে কতো রকম ভাবেই না গল্প বানাতো। সবই অতীত, সবই সোনালী দিন। আচ্ছা, সুখের সীমানা অনেক ছোট হয় নাকি সময়ের স্বল্পতা ব্যক্তি নিজেই নির্ধারণ করেন?

সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে। ছোট এই নীড়ে সব কিছুই আছে। আছে সুখ, আছে ভালোবাসা, এখানে মায়ার বাঁধন খুবই অটুট। অল্পতেই সবাই একে অন্যের জন্যে মরীয়া হয়ে পড়ে। তারপরেও এই সুখের নীড়ে বৃষ্টি ভেজা রাতে কিছু একটা কমতি খেলে। রাত্রির চোখে তাকালে সে কমতি কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না।

হ্যারিকেনের আলো রাত্রির কামরা পেরিয়ে উঠোনে ঠেকেছে। হ্যারিকেনের রঙ্গিন আলোয় উঠনে পড়তে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা গুলোকে কতোই না সুন্দর দেখাচ্ছে। বৃষ্টির ফোটায় পলি জমা মাটি গুলোও কতো আগেই ক্ষত ধরেছে। প্রতিটা বৃষ্টির ফোঁটা মাটির বন্ধন ছিঁড়ে ভিতরে ক্ষত তৈরি করেছে। বের হচ্ছে মাটি থেকে গাড় রঙের বেদনা। বেদনা গুলো মাটির সাথে পানির স্রোতে দূরে কোথাও গিয়ে ঠেকছে। এভাবে, নতুন ভাবে নতুন স্থানে নতুন করে গড়ে উঠবে মাটিদের আরেক বসতি।

এই অপরূপ বৃষ্টিও আজ রাত্রির চোখে সৌন্দর্য দেখাতে ব্যর্থ। এই রাত্রিই এককালে কতো করে চাইতো বৃষ্টি মাখা সময়ে নিজের হিরোকে নিয়ে জানালার পাশে বসে গল্প করবে। যে গল্পে বাদ যেতো না কিছুই। মাঝে মাঝে তারা চা খেতো আর বৃষ্টির পড়ার এই ব্যাপার স্যাপার নিয়ে নিখুঁত আলাপ করতো।

বৃষ্টিরা কেনো আসে, কেনো যায়। বৃষ্টি আসলে লোকালয়ের সুবিধা কি বা অসুবিধা কোথায়। কোন কিছুই বাধ যেতো না আড্ডায়। অথচ আজ অবধি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু এ বৃষ্টি রাত্রির মনে তাড়না কাজ করাতে সক্ষম হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে সে এখনও জানালায় পাশে বসে। এটা ভালোবাসার খাতিরে না, অভ্যেসের দায় থেকে।

কোন এক ঝড়ের রাতে যে মানুষটির গল্প করার কথা ছিলো তা না করে বরং রাত্রিকে বিদেয় জানিয়ে চলে যায়। চলে যায় না ফেরার দেশে। রাত্রি কোন ভাবেই তার হিরোকে ভুলতে পারছে না। কি রকম ব্যথাতুর হৃদয় হলে একটা কোমল মন প্রকৃতির নিয়মকে মেনে নিতে অপরাগত জানায়।

গ্রামের অন্য সব মেয়ের মতোই বেড়ে উঠতে পারতো রাত্রি। কিন্তু উদার আর আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন বাবা করিম উদ্দিন কোন ভাবেই চায় নি তার মেয়ে অন্য সব গ্রামের মেয়ের মতো বেড়ে উঠুক।

প্রকৃতি যেখানে মানুষকে উদার হয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে সেখানে গ্রামের মানুষদের মনে ভূত বাসা করে রেখেছে। তারা প্রকৃতির এই কৃজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে নিজেদের মতো একটা সর্কীণ্ণ সমাজ গড়ে তুলেছে। যে সমাজে কোন কিছুর ই ঠিক নেই। ডর, ভয়, কুসস্কার, ভণ্ডামি, ধর্মীও গোঁড়ামি এই রকম ছেলে-খেলা ব্যাপার গুলো সমাজের মূল মন্ত্র হিসেবে ঠাই করে নিয়েছে।

করিম উদ্দিন সমাজের এমন ব্যাপার গুলোর উর্ধে। নিজের সন্ত্রান বা স্ত্রীকে এমন ব্যাপার গুলো থেকে দূরে রেখেছে। এই নিয়ে সমাজে তাকে নিয়ে কম কানাঘুসা হয় নি। অনেকে তো আড়ালে তাকে পাগল বলেও তিরস্কার করতো।

ঝড়ের রাতে রাত্রির বাবার মৃত্যুকে সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ভাবে দেখে নি। তাদের মতে আল্লাহ্‌’র গযব পড়েছে তার উপর। কানাখোসা কথাগুলো রাত্রি কিংবা তার মায়ের কানেও এসেছে। মানুষের এমন আচরণে তারা মোটেও দুঃখ পায় নি। যারা এমন অসুস্থ মন-মানুষিকতা নিয়ে ঘুরছে তাদের প্রতি রাত্রির মনে চরম সমবেদনা রয়েছে।

করিমের মেয়ে তার প্রায় সব কিছুই পেয়েছে। কথা বার্থা, চেহানা, আচার ব্যবহার। এই নিয়ে আল্লাহর কাছে রাত্রি খুবই কৃতজ্ঞ। মাঝে রাতে প্রার্থনা শেষে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞা প্রকাশ করে। তার নিজের মাঝে মাঝে মনে হয়, “বাবা বুঝি নিজে চলে গিয়ে তাকে রেখে গেছে বাবার প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে”।

আজকের এই বৃষ্টিভেজা পরিবেশ তার মনে কোন উচ্চাশা জাগাতে পারে নি। রাত্রির মন এখনও ব্যথাতুর হয়ে আছে। মনের গহীনে কোথাও যেন বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির উৎস কোথায়, তা কারো জানা না থাকলেও বৃষ্টির কারনটা যে তার হিরো এটা না বুঝার মত ব্যক্তি একজনও নেই স্রষ্টার এই জগতে।


মাহতাব হোসেন
১১ মার্চ, ২০১৭
রাত ১টা ৫০ মিনিট।


Thursday, 9 March 2017

সমঅধিকার

নারী, তুমি বোকা তুমি অন্যের ভোগ্য পণ্য
তুমি পুরুষের হাতের খেলনা, কাঠের পুতুল।

নারী, তুমি প্রতিবাধী অধিকার আদায়ী
তুমি পুরুষের সাজানো গল্পের চিত্রনাট্য।

নারী, তুমি সচেতন, সোচ্চার অধিকারে
তুমি কর্পোরেটের একটা চরিত্র মাত্র।

নারী, তুমি আজ স্বাধীন নিজের পোষাকে
তুমি জানো ভাবনা কেনো গুজিয়েছে মাথায়?

নারী, তুমি ভাবো পুরুষ থেকে হচ্ছো আলাদা
ভুল, তুমি বোকা। শরীরের নতুন দাসত্ব মাত্র।

নারী, তুমি ভাবো পুরুষ দিয়েছে মনের স্বাধীনতা
তুমি জানো? পুরুষ চায় তোমায় খোলামেলা আপদমস্তক।

নারী, সমাজ যখন তাদের মত বিরোধ তারা বলে ট্যাবু
তুমি জানো? তারা ধর্ম আর মূল্যবোধেও ট্যাবু খোঁজে।  
তুমি কি জানো? তারা চায় তুমি তাদের অনুগত হও।

নারী, তুমি জানো তারা কি চায় তোমার কাছে?
তুমি জানবে কি করে তুমি তো সর্বকালেই ব্যবহৃত।
তারা চায় হস্তক্ষেপ, তারা চায় করুণা দিতে
তোমার মধ্যে থাকা তোমাকে গিলে খেতে। 
নারী, আমি বলছি না তুমি কারো মত- বিমতে যাও
তুমি ভাবো, তুমি বুঝো, তুমি দেখো নোংরামি।

নারী, তুমি আমার কথা শুনে হাসছো? মৌলবাদী ভাবছো?
তুমি ভুল, তুমি বোকা। ধর্ম থেকে তারা তোমাকে দূরে সরাচ্ছে,
বানাচ্ছে আমার মতো বলে যাওয়া মানুষকে মৌলবাদী।

নারী, তুমি বুঝবে একদিন ঠিকই বুঝবে, দিন আসবে।
তুমি জানো? সেদিন তুমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়বে!
জানো? সেদিন নিজেকে কতো নিচু অবস্থায় খুঁজে পাবে,
না এখন তোমার জানার কথা নয়, সুযোগও নেই।
নারী, এই সমাজ তোমাকে নিয়ে খেলে, কর্তার রদবদলে
তুমি হাতে হাতে বলের মতো বাঁক খাও একজনে একরকমে।

নারী! তুমি তো পরীক্ষামূলক গবেষণার বস্তু, জানো?
তুমি বুঝবে না, জানি। পুরুষ তোমাকে নিয়ে গবেষণা করে। 
তুমিও জানবে একদিন। ওইদিন তোমারও আসবে। 

Saturday, 4 March 2017

অসভ্য আমি

অসভ্য আমি।
মাহতাব হোসেন 

আমি কবি নহে, কবিতা দেখি।
আমি প্রেমিক নহে, প্রেম করি।
আমি ধর্মভীরু নহে, ধার্মিক খুঁজি।   
আমি প্রগতিশীল নহে, কুসংস্কার আদতে।  
আমি শান্তির প্রতিশ্রুতি দাতা নহে, অশান্তি কামনায়। 
আমি মীরজাফর নহে, অসংখ্য মীরজাফর আত্মায়।   
আমি আস্থাহীন নহে, আস্থা আমাকে কুঁড়ে খায়।  

আমি পীড়িত নহে, সমাজ আমাকে পীড়া দেয়। 
আমি তাড়িত নহে, বিবেক আমায় তাড়না দেয়।  
আমি দেশদ্রোহী নহে, কলম আমায় বিপ্লবী বানায়।
আমি সব কিছুর নিম্নে নহে, তবে কেনো ঊর্ধ্বে নহে?    

আমি কবি নহে, বুজুর্গদের কাছে ঠিকই হবো একদিন।  
আমি ভণ্ড নহে , তবে একদিন আমাকেও ডাকা হবে।  
আমি ভীতু নহে , সাহসী একদিন আমাকেও খুঁজিবে
এই বলে যাই লিখে, যদি জুটে পানি মরুতে।   



Wednesday, 1 March 2017

মনের গহীনে স্পন্দন

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ভোর রাত থেকেই শুরু এই আহাজারি। তারপরেও আলসামী করে বারান্দায় আসতে মন চাচ্ছিল না। মদ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই নাকি মানুষের ছাপ শুরু হয় প্রস্রাব করার জন্যে। হালার প্রস্রাব, আর সময় পেলো না ছাপ দেয়ার। একটু ঝিম মেরে বসে থাকতেও দিবে না। এই দিকে মন উদগ্রীব হয়ে আছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখার
জন্যে। অন্য কোন সময় হলে এতো আলসামি পেয়ে বসতো না। আজকের ব্যাপারটা একটু অন্য রকম। অনেকদিন পর হাং আউট সাথে একটু ঝিমুনি। ভাবতেই একটু শান্তি আসে মনে। শহুরে এই যান্তিক জীবনে সবসময় ঝিমুনি নেয়ার ব্যবস্থাও বা কই থাকে। প্রতিদিন গদবাধা লাইফ। সকাল সকাল ঘুমাও। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠ। বাসের জন্যে লাইন ধরো। অফিসে কাষ্টমারদের সাথে গ্যাঁজ গ্যাঁজ করা। উও! কি দুর্বিষহ লাইফ। ভাবতেই জীবনের প্রতি এক ধরণের তিক্ততা আসে। এই তিক্ততা থেকে মুক্তি পেতে মাঝে মাঝে এই একটু আক্টু ঘোলা পানি জীবনটায় একটু জীবন দান করে। মানুষটা এমন ই। প্রতিদিন হাংগ খাওয়ার পর এই একই কথা ভাবে কিন্তু সকাল হলে টেন পায়, গত কিছুদিন যাবত সে রীতিমতোই মাল খেয়ে আসছে।
আর সইতে না পেরে অবশেষে জাকির প্রায় বাধ্য হয়ে উঠে পড়লো। বাথরুমে গিয়ে হাই কমেটে তেলাপোকা চোখে পড়লো। শালার তেলাপোকাটাটা শেষ পর্যন্ত তার জিপারের ভেতরে থাকা বস্তুতা দেখে নিলো। জিপারটা আটকাতে আটকাতে তেলোপোকার গুষ্টি সহ খিস্তী মেরে উৎরিয়ে নিলো।
ব্যাপারটা আর সয্য করা যাচ্ছে না। এর একটা বিহিত চাই। আজকে তেলাপোকা শালাকে প্রস্রাব দিয়েই কমেটে ডুবিয়ে মারতে হবে। জিপার খুলতে যাবে। তখন ই দেখে কমেটে উপর নীচ সবখানেই তেলাপোকা আর তেলাপোকা। চোখ একটু ভালো করে ডলে নিলো সে। নিজেকে প্রশ্ন করলো জাকির, হাং কি বেশী হলো নাকি? না এমন তো হওয়ার কথা না। মাল খাওয়ার ব্যাপারে নিজের উপর তো তার যথেষ্ট আস্থা আছে। ওই যে কিছুদিন আগেও তো সুহৃদের সাথে বাজি দরে একটা ফরেন মাল একাই সাবাড় করে দিলো, এটা দেখে বেচারা সুহৃদের মুখের অভিব্যাক্তি দেখার মতো ছিলো। বেচারা বেতন পেয়ে একটা মাল নিয়ে আমার ফ্ল্যাটে উঠলো দু বন্ধু মিলে রাতে জম্পেশ মাল খাবে বলে কিন্তু বাজি দরে তো পুরাই ধরা খেলো। সে জানতো জাকিল মাল ভালো খায় তাই বলে কি পুরো এক বোতল একা খাবে, এটা ঘুরনাক্ষরেও কল্পনায় আসে নি সুহৃদের। মন মরে বেচারা কষ্ট পেলো। বাধ্য হয়ে সারা রাত একটু শাকসবজি খেয়ে কাটিয়ে দিলো। মাঝে মাঝে একটু খক খক কাশি ছাড়া সে রাতে তার কিছুই বলার ছিলো না।
শালার তেলাপোকার দল। কই থেকে আইলো এই সাতসকালে কমেটে মাতব্বরি করতে। তাঁদের আচরন মোটেও তার কাছে সুবিধার মনে হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে জিপারটা টানিয়ে গিজ গিজ করতে বাথরুম থেকে বের হলো।
দূর শালা যে কাজে বিছানা থেকে উঠ কাজটা তো সারাই হলো না। শালার প্রস্রাব ও কম নয়। সুযোগ বুঝে মজা চোদায়। যেই না জিমুনি আসলো তখন ই ছাপ দিতে গেলো। চোদনা এখন নিজেই তেলাপোকা দেখে চোদ গেয়ে গেলো। কই এখন ছাপ দিতে পারে না, তাহলে তেলাপোকা গুলোকে তাড়িয়েও হলেও একটু টাঙ্কি খালি করা যেতো।
বারান্ধায় বসে সিগারেট খাচ্ছে খুব ফিল নিয়ে। আহা জীবন অনেক সুন্দর। আহা জীবন। একটু বেশী হাং খেলে জাকিরের মুখ থেকে সব সময় এই শব্দ গুলোই বের হয়। এতক্ষণ তেলাপোকা আর প্রস্রাবকে খিস্তী কাটলেও এখন মনে হছে তখন না উঠলে বৃষ্টি ভেজা এই সুন্দর সকালটা খুবই মিস করতো।
কুয়াশা মাখা মিষ্টি সকালটা খুবই মোহিত করেছে। নিজেকে আবেগে আপ্লূত করে তুলছে নিজের মধ্যে বাস করা আরেক আমি। তখন নিজে মধ্যে থাকা আরেক আমি বেসুরা গলায় আপনা আপনিতে গেয়ে উঠলো জন ডেনভারের সেই বিখ্যাত গানটা। 'ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস' টানা তিন বার গেয়ে একটু চুপ মেরে গেলো। সে একটুও কল্পনা করতে পারছে না, আসলে সে কতোটা হাংগ খেলো।  
গত এক সাপ্তাহ হলো স্পন্দনের সাথে তার ব্রেক আপ হইছে। স্পন্দন যাওয়ার পর থেকে তাঁর মনের স্পন্দন বেড়ে গেছে, খুবই বেড়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা একটুও মেনে নিচ্ছে না সে বরং সে নিজেকে সবসময় স্বাভাবিক ভেবে যাচ্ছে আর প্রতিরাতে একটা করে ভ্যাট ৬৯ হজম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিরাতের মতো আজকেও একটু বেশী হাংগ হয়ে গেছে। 'ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস' এই লাইনটা আবার গাইলো। যে কেউ শুনলে ভাববে এই শালা গানও শ্লো মোশনে গায়। তাঁর মুখে গানটা প্রায় এই রকম ই শুনা গেছে, 'ইইইউউউ...উ ফি...ল আআআপ মামই সেসেন্সেসসস'। 
লাইনটা শেষ হতেই বারান্ধায় থাকা চেয়ার থেকে থুপ করে পড়ে গেলো জাকিব। শব্দটা শুনালো বড় কোন দানবের শেষ পরিণতির মতো। মনে হলো দিশেহারা হয়ে দানবটা তাঁর রাজ্য থেকে ক্ষমতা হারালো। যেনো থুপ করে নীচে পড়ে তলিয়ে গেলো। তাঁর অবস্থা এমনই ছিলো যে, মনে হচ্ছে একটা দানব মাত্র কই থেকে উড়ে এসে বারান্দার ফ্লোরে পড়লো। তাঁরপর বনের কোনো না জানা জানোয়ারের মতো গোংগিয়ে যাচ্ছে অনবরত। ঘুমের মধ্যে যে মানুষ এখন গহীন অরণ্যে ডুব মেরেছে, তা কি সকালে ঘুম থেকে উঠে বুজিতে পারবে মানুষটা। এমন একটা মানুষকে ঘুমের মধ্যে কতোটা অসহায় দেখাচ্ছে তা কি কখনো দেখতে বা বুঝতে পারবে স্পন্দন। মানুষটার আজকের এই অবস্থার জন্যে পরোক্ষভাবে হলেও স্পন্দনের প্রভাব রয়েছে এ কথা তো জাকির বা স্পন্দন কেউ ই জানতে পারবে না। তারপরেও তো চলতে হবে, জীবনটা যে ভাবে চলে। অন্য সবার মতো তাঁদেরকেও মাথা পেতে বাস্তব মেনে নিতে হবে। না মেনেও বা উপায় আছে! কেউই তো বাস্তবতার উদ্ধে না।