ছুটির দিন গুলোতে মাঠে সাধারণ অনেক মানুষ জড়ো হয়। সাপ্তাহে একদিন ছুটি পায় চাকুরীজীবী মানুষ গুলো। তারা তো আর আমাদের মতো বেকার না। আমাদের তো পড়াশুনার বাহিরে কোন কাজ নেই। অন্য প্রতিদিনের মতো সন্ধায় দু বন্ধু মাঠে এসেছি। আজকের আবহাওয়াও সুন্দর। ছুটির দিন বলে মানুষের আনাগোনা অন্য দিনের তুলনায় বেশী। লিলুয়া বাতাসে দু বন্ধু ঘাসে বসে গায়ে হাওয়া লাগাচ্ছি। আমাদের পাশে একটা মেয়ে ঘুরঘুর করছে। কানে তার হেডফোন। পোশাক আশাক দেখে ভদ্র পরিবারের মেয়েই মনে হচ্ছে। অনেকদিন থেকেই বন্ধু আমার প্রেমে মরীয়া হয়ে উঠেছে। প্রেম প্রেম খেলা তার মনে উথলে উঠেছে কিন্তু হায় প্রেম! প্রেম তো দেখা মিলে না।
অন্যদিনের মতো আজ আর নিজেদের কথা নিয়ে গল্প হচ্ছে না। মেয়েটাকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর মেয়ে বন্ধুর দিকে তাকাচ্ছে। বন্ধুও মনে মনে দেওয়ানা হয়ে উঠেছে। মেয়ের তাকানোর ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সেও কিছু বলতে চায়। মাঠে সন্ধ্যায় কতো মেয়েই আসে। কার মনে কি বাসনা সে তো মাবুদ ছাড়া কেউ জানে না। বন্ধু আর মেয়ে দুজন দুজনকে চোখ দিয়ে বুঝে নিয়েছেন।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা ছেড়ে মেয়েটা আমাদের কাছে আসে। আমি বন্ধুর প্রানে চেয়ে রয়েছি। তার চোখে মুখে উত্তেজনা কাজ করছে।
মেয়ে কাছে আসতেই তার পিছনের পকেট থেকে একটি ভিজিটিং কার্ড বের করে। বন্ধুকে কার্ডটা দিয়ে হাতে ইশারা করে পরে কল দেয়ার জন্যে। কার্ডটা পড়ার সাথে সাথে বন্ধুর মনের সব উত্তেজনা এক নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। কার্ডটায় কি লেখা ছিলো তা আর ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এটা জানা ভালো, এমন যুগ এসে দাঁড়িয়েছে পোশাক দেখে মানুষ জানা দুষ্কর। কে বা শখে, কে বা ঠেকায় পড়ে এমন করেন তা কি মাবুদ ছাড়া কেউ জানেন?
অনুগল্পঃ লিলুয়া বাতাস
লেখাঃ মাহতাব হোসেন
অন্যদিনের মতো আজ আর নিজেদের কথা নিয়ে গল্প হচ্ছে না। মেয়েটাকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর মেয়ে বন্ধুর দিকে তাকাচ্ছে। বন্ধুও মনে মনে দেওয়ানা হয়ে উঠেছে। মেয়ের তাকানোর ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সেও কিছু বলতে চায়। মাঠে সন্ধ্যায় কতো মেয়েই আসে। কার মনে কি বাসনা সে তো মাবুদ ছাড়া কেউ জানে না। বন্ধু আর মেয়ে দুজন দুজনকে চোখ দিয়ে বুঝে নিয়েছেন।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা ছেড়ে মেয়েটা আমাদের কাছে আসে। আমি বন্ধুর প্রানে চেয়ে রয়েছি। তার চোখে মুখে উত্তেজনা কাজ করছে।
মেয়ে কাছে আসতেই তার পিছনের পকেট থেকে একটি ভিজিটিং কার্ড বের করে। বন্ধুকে কার্ডটা দিয়ে হাতে ইশারা করে পরে কল দেয়ার জন্যে। কার্ডটা পড়ার সাথে সাথে বন্ধুর মনের সব উত্তেজনা এক নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। কার্ডটায় কি লেখা ছিলো তা আর ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এটা জানা ভালো, এমন যুগ এসে দাঁড়িয়েছে পোশাক দেখে মানুষ জানা দুষ্কর। কে বা শখে, কে বা ঠেকায় পড়ে এমন করেন তা কি মাবুদ ছাড়া কেউ জানেন?
অনুগল্পঃ লিলুয়া বাতাস
লেখাঃ মাহতাব হোসেন



















