মাওয়ায় ঝটিকা সফর
স্বল্প সময়ে ঢাকার আসে পাশে ঘুরে আসতে চাইলে যে কয়টি নামের তালিয়া চোখে পড়বে তার মধ্যে মাওয়া
ফেরীঘাটের নামও উল্লেখযোগ্য। পদ্মার সাথে যেমন ইলিশের সখ্যতা বহু যুগ থেকে চলে এসেছে তেমনি ভ্রমন পিপাশু আর ভোজন প্রেমীদের জন্যে পদ্মার পাড় তথা মাওয়া ফেরীঘাট একটি অতিপরিচিত জায়গা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এখানে আশে পদ্মার পাড়ে তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহন করতে। মাওয়া ঘাটে এসে যে কয়টি ব্যাপার আপনার মধ্যে থাকা আপনাকে চাঞ্চল্যকর করে তুলবে তার মধ্যে রয়েছে মানুষের কোলাহল, ইলিশ মাছের ঘ্রাণ, নানারকম মাছ রিলেটেড খাবারের মেনু।স্বল্প সময়ে ঢাকার আসে পাশে ঘুরে আসতে চাইলে যে কয়টি নামের তালিয়া চোখে পড়বে তার মধ্যে মাওয়া
কি আছে মাওয়া ফেরীঘাটমাওয়া ফেরীঘাট যেমন ভোজনের জন্যে প্রসিদ্ধ তেমনি করে ঘুরাঘুরির জন্যেও। ঘাটের পাশেই জেগে উঠেছে বিশাল
তাজা ইলিশ খেতে হলে সকাল সকাল ঘাটে আসতে হবে। সকাল নয়টার মধ্যে আসলে পদ্মার পাড়ে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনা যায়। দোকান থেকে স্বল্প টাকায় সে মাছ মন মতো রাঁধিয়ে নেয়া যায়।
ঢাকা থেকে কীভাবে যাবেন
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে সরাসরি মাওয়া ঘাটে যাওয়ার বাস রয়েছে। যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান থেকে বি আর টি সি বাস যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ থেকে স্বাধীন বাসে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক বাস যাতায়াত করে গুলিস্থান থেকে।
গুলিস্থান থেকে মাওয়াঘাটে বাসে প্রতি সিট ৭০ টাকা ভাড়া। মিরপুর ১০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি সিট।
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে সরাসরি মাওয়া ঘাটে যাওয়ার বাস রয়েছে। যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান থেকে বি আর টি সি বাস যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গুলিস্থান, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ থেকে স্বাধীন বাসে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক বাস যাতায়াত করে গুলিস্থান থেকে।
গুলিস্থান থেকে মাওয়াঘাটে বাসে প্রতি সিট ৭০ টাকা ভাড়া। মিরপুর ১০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি সিট।
যাতায়াতের সময়কাল
ঢাকা থেকে রওয়া দিলে মাওয়াঘাটে যেতে গড় সময় লাগবে ২-২.৩০ মিনিট। জ্যামের উপর ভিত্তি করে করে সময় আরো কম বেশী হতে পারে।
ঢাকা থেকে রওয়া দিলে মাওয়াঘাটে যেতে গড় সময় লাগবে ২-২.৩০ মিনিট। জ্যামের উপর ভিত্তি করে করে সময় আরো কম বেশী হতে পারে।
যাত্রা পথে যা যা চোখে পড়বে
গুলিস্থান থেকে বাস যাবে বাবুবাজার ব্রিজের উপর দিয়ে। ব্রিজের উপর থেকে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য চোখে পড়বে। ব্রিজ
ক্রস করেই কেরানীগঞ্জ। বাস থেকে চোখে পড়বে কেরানীগঞ্জে সধ্য নির্মিত “ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার”। আধুনিক সব স্থাপনায় নির্মিত হয়েছে কারাগারের সব ভবন। জানালার পাশ দিয়ে চোখ মেলতেই রাস্তার দুপাশে সবুজের মেলা। গাছগাছালী আর ক্ষেতের শস্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে। মুন্সীগঞ্জের চৌচালা টিনের ঘর গুলা একটি অদ্ভুত। প্রতিটা টিনের ঘর মাটি থেকে হাফ ফুট উপরে চারটা পায়ার উপর বেজ করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় সবগুলা বাড়ির রঙ একই রকম দেখতে। যাত্রাপথে একটু দূরেই পদ্মার জন্যে নির্মিত ব্রিজের জন্যে তৈরি করা প্রকল্পের সব স্থাপনা। এই স্থাপনায় আপাতত বিভিন্ন কলাকুশলী থাকে যারা কিনা পদ্মা ব্রিজের নির্মানের গুরুত্বপূর্ন কার্যের সাথে জড়িত। পরবর্তিতে এই জায়গাটা রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহিত হবে।
গুলিস্থান থেকে বাস যাবে বাবুবাজার ব্রিজের উপর দিয়ে। ব্রিজের উপর থেকে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য চোখে পড়বে। ব্রিজ
ক্রস করেই কেরানীগঞ্জ। বাস থেকে চোখে পড়বে কেরানীগঞ্জে সধ্য নির্মিত “ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার”। আধুনিক সব স্থাপনায় নির্মিত হয়েছে কারাগারের সব ভবন। জানালার পাশ দিয়ে চোখ মেলতেই রাস্তার দুপাশে সবুজের মেলা। গাছগাছালী আর ক্ষেতের শস্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে। মুন্সীগঞ্জের চৌচালা টিনের ঘর গুলা একটি অদ্ভুত। প্রতিটা টিনের ঘর মাটি থেকে হাফ ফুট উপরে চারটা পায়ার উপর বেজ করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় সবগুলা বাড়ির রঙ একই রকম দেখতে। যাত্রাপথে একটু দূরেই পদ্মার জন্যে নির্মিত ব্রিজের জন্যে তৈরি করা প্রকল্পের সব স্থাপনা। এই স্থাপনায় আপাতত বিভিন্ন কলাকুশলী থাকে যারা কিনা পদ্মা ব্রিজের নির্মানের গুরুত্বপূর্ন কার্যের সাথে জড়িত। পরবর্তিতে এই জায়গাটা রিসোর্ট হিসেবে ব্যবহিত হবে।
কোথায় খাবেন
ঘাটের পাড়েই গড়ে উঠেছে অনেক গুলো খাবারের দোকান। যেখানে ইলিশ সহ নানারকম ভাঁজা ও রান্না করা মাছ বিক্রি
তাছাড়া আপনি চাইলে পদ্মার পাড়ে নিরিবিলি কোনো স্থানে খাবার নিয়ে বসে পড়তে পারেন।
হয়। প্রায় সব খাবারের দোকান থেকেই পদ্মার বিশালাকার রূপ দেখা যায়। দোকানে জানালার পাশে বসে খাওয়া আপনার জন্যে আরো উপভোগ্য হবে।ঘাটের পাড়েই গড়ে উঠেছে অনেক গুলো খাবারের দোকান। যেখানে ইলিশ সহ নানারকম ভাঁজা ও রান্না করা মাছ বিক্রি
তাছাড়া আপনি চাইলে পদ্মার পাড়ে নিরিবিলি কোনো স্থানে খাবার নিয়ে বসে পড়তে পারেন।
ইলিশ মাছের পিস দোকানে থালায় করে সাজানো থাকে। পছন্দ মতো টুকরো দোকানী ভেঁজে দেয়। তা ছাড়া আনাম মাছ কেনারও ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দ আর দাম মিলিয়ে নিজের মতো করে মাছ ভাঁজিয়ে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রতিটা মাছের মূল্য ৩০০-১২০০ টাকা পড়বে। তাছাড়া ইলিশ মাছ পিস প্রতি ৫০-৮০ টাকা বিক্রি হয় দোকান গুলোতে। ইলিশের মাথা লেজ আর ডিম দিয়ে এক ধরনের ভর্তা তৈরি হয়। ভর্তাটা অনেক সুস্বাদু। দোকানে ভর্তা প্রতি প্লেট ৩০ টাকা।
সকালে ঘাটে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনলে পিস প্রতি ৮০-৮০০ টাকা পড়বে। সেক্ষেত্রে মাছের দামও কম পড়বে আর মাছ টাটকা পাওয়া যাবে।
সর্তকতা-
ইলিশকে ঘিরেই যেহেতু এতো মানুষের এখানে আশা সেই ইলিশকে ঘিরেই এখানে অনেক রকম চালাকি রয়েছে। ইলিশের মতো দেখতে নদীতে আরেকটা মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এটাকে চন্দন মাছ বলে। অনেক দোকানে চন্দন মাছকেই ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়। নতুনদের মধ্যে আশা বেশী মানুষই এই ধরণের প্রতারণার শিকার হয়।
জনপ্রতি খরচ
ঢাকা থেকে যেতে চাইলে জনপ্রতি খরচ সাধারণত ২৫০-৩০০ টাকা পড়বে। এর মধ্যে যাওয়া আশা মিলিয়ে ভাড়া এবং বাকী টাকায় খাবার। তবে যাওয়া আর খাওয়া ছাড়া ওখানে আরো ঘুরতে চাইলে খরচ বাড়বে।
ইলিশকে ঘিরেই যেহেতু এতো মানুষের এখানে আশা সেই ইলিশকে ঘিরেই এখানে অনেক রকম চালাকি রয়েছে। ইলিশের মতো দেখতে নদীতে আরেকটা মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এটাকে চন্দন মাছ বলে। অনেক দোকানে চন্দন মাছকেই ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়। নতুনদের মধ্যে আশা বেশী মানুষই এই ধরণের প্রতারণার শিকার হয়।
জনপ্রতি খরচ
ঢাকা থেকে যেতে চাইলে জনপ্রতি খরচ সাধারণত ২৫০-৩০০ টাকা পড়বে। এর মধ্যে যাওয়া আশা মিলিয়ে ভাড়া এবং বাকী টাকায় খাবার। তবে যাওয়া আর খাওয়া ছাড়া ওখানে আরো ঘুরতে চাইলে খরচ বাড়বে।
ছবিতে মাওয়াঘাট














অর্ণব অনেক ভালো হইসে লেখাটা
ReplyDeletegood job bro.carry on
ReplyDelete